মেয়েটা বিরক্ত হচ্ছিল কেন আল্লাহ মালুম। উসখুস করছিল। গাড়ির দরজা খুলে আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,
-এই যে মিস্টার এইখানে গাড়লের মত দাঁড়িয়ে গুলতানি মারছেন কেন?
-তাতে আপনার প্রবলেম কি? আমার মা তো আপনার বয়সী নন!
-ইডিয়ট। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করবে। আর কিছু বললে বলবে, আপনি বলার কে? আপনি কি আমার মা!
-এই যে সিস্টার! আমি কোথায় আপনাকে উত্যক্ত করলাম!
-এই যে অন্ধজন!..
একটি বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বানাবো। প্রয়োজনীয় আলাপচারিতা সেরেছিলাম ছ'মাস আগের এক সকালে। উপস্থিত ছিল তিনজন অশরীরি, দুটো চড়ুই, সকালের বাতাস এবং গুটিকয় সিনেমানবিস। ভোর হলেই এখন তাই বাতাসের স্নিগ্ধ আঁচল ঘরময় ওড়াওড়ি করে। কিচির মিচির করে ঘরকুনো চড়ুই। সুবাদে ভোরটা এখন প্রাণময়। দিনগুলো সৃজনশীল।
খুব দ্রুত এগোয় সিনেমার কাজ। গল্পটা অসাধারণ। মু্ক্তিযুদ্ধের। মেরে দেয়া নয়। সাম্প্রতিক সময়ের অসম্ভব প্রতিভাধর এক গল্পকার লিখেছেন এটি।..
হিজলতলির মাঠে একটা লাশ আমাকে তাড়া করছিল। ওকে ত্যাগ করা আত্মাই নাকি আমি। আমাকে হয় নিজ দেহ ত্যাগ করতে হবে নতুবা দুই দেহেরই দায়িত্ব নিতে হবে।
এক আত্মা দুই দেহে থাকে কিভাবে? আমার প্রশ্নে মাঠ কাঁপিয়ে হাসল মড়া। বলল, সে তোমার সমস্যা। আমাকে ত্যাগ করে আরেকজনের ভেতর সুরুৎ করে ঢুকে যাবার সময় মনে ছিল না তুমি দুই দেহের মালিক হতে যাচ্ছ!
কুকুরটি ভয়ানক ভাবে তেড়ে এল। আমার বুক লক্ষ্যে লাফ দিতেই মনে হল ওটা কুকুর নয় হায়েনা। ভয়ে চোখ বন্ধ করলাম। হাত দুটো সামনে। যদি কোন অলৌকিক উপায়ে ওরা আমাকে রক্ষা করে! কিংবা হতে পারে সম্পূর্ণ অভ্যাসবশে ওরা সামনে চলে গেছে।
কোন কিছুই আমার উপর আছড়ে পড়ল না। ব্যাপার কি! কুকুর অথবা হায়েনা কি হাওয়া হয়ে গেল? চোখ মেলতেই দেখি একটা ফুটপাথে শুয়ে..
বটের ছায়ায় লীন হতে হতে আঁধারে মিশে গেলে একটি অংক রাজহাঁস হয়। অংকের পিঠে প্রেম বসিয়ে পিথাগোরাসের উপপাদ্যকে প্রধান পুকুরপাড়ে মরে যেতে দেখি। পুকুরটি ঝোপের ডালে জোনাকের ঝারবাতি সাজিয়ে কাঙালি ভোজে ব্যস্ত হলে উল্কাপতনের শব্দে কাঁপে জনতার খনি। সেই সব দিনে গজিয়ে ওঠা পাহাড়ের চূড়ায় চোখের পর চোখ বসিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকথা লেখা হতো বলে প্রেক্ষাগৃহে উল্কাবিদ্যার বদলে উৎপাদিত হতো ইভটিজারের এনাটমি...
সপ্তর্ষি প্রেমে অবাক জলস্রোতের নতজানু একাঙ্কিকা থেমে গেলে স্থানু সময় ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে এক অকৃত্রিম মহীরূহ। যার সফেদ রেশম চিকচিকে হাসিকান্নার আলোয়ানে খেলা করে গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্নকথিকা। বালকবেলার দোমড়ানো হাহাকার ঘিরে বসে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
: আমাকে পথ দেখাও গুরু। ভুল পথে চলে চলে ক্লান্ত আমি।
: যে পথ তোমাকে আমার কাছে এনেছে তাকে ভুল বলছ?
: জীবন এখানে পাণ্ডুর রোগের মত ম্রিয়মাণ, বিস্বাদ। সকল সতীর্থ..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
বটের ছায়ায় লীন হতে হতে আঁধারে মিশে গেলে একটি অংক রাজহাঁস হয়। অংকের পিঠে প্রেম বসিয়ে পিথাগোরাসের উপপাদ্যকে প্রধান পুকুরপাড়ে মরে যেতে দেখি। পুকুরটি ঝোপের ডালে জোনাকের ঝারবাতি সাজিয়ে কাঙালি ভোজে ব্যস্ত..