একদা নারীর কাছে আমার সমুদয় প্রেম গচ্ছিত রেখে ভেবেছিলাম, প্রয়োজন হলে তুলে নিব। যেভাবে ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ তুলে নেয় নিরুপায় গ্রাহক।
মানুষকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখে যে দুটো জিনিস তার একটি অর্থ। অন্যটি প্রেম। ব্যাংকের ভল্ট যেমন অর্থের নিরাপদ আশ্রয় তেমনি নারীর হৃদয় প্রেমের নিরাপদ ভল্ট।
প্রয়োজনের দিন আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। টেলিফোন বেজে চলেছে এক দুই তিন। পঞ্চমবারে যিনি ধরলেন, তিনি নারীর মা। জানালেন, আজ অফিস করবেন না ব্যাংকার। কিন্তু আমি যে নিরুপায়! একাধিক ব্যাংকে রাখবার মত টাকা আমার কোনো কালেই ছিল না।
আমার কাতর অনুনয়ে দয়ার্দ্র হলেন মাতৃদেবী। ছুটি ভেঙ্গে এল নারী। আমার দাবি শুনে হাসল। অট্টহাস্য। বলল, প্রেম যে তুলে নিতে চাও চেক এনেছ? ( এ আবার কেমন কথা! প্রেমচেক ইস্যু করেছিলে নাকি হারামি?)
আমার বিব্রত বদন দেখে নারী ভঞ্জন করল প্রেম ও অর্থের ভেদ। অর্থের একটাই রূপ তাই স্বরূপে ফিরে আসে। প্রেমের নানান রূপ তাই ফিরে আসে অন্য রূপে।
প্রেমের অন্য রূপ খুঁজতে পাড়ি দিলাম তেত্রিশ পৃথিবী। অবশেষে হতাশাকে সাথী করে আবারও হানা নারীর হৃদয়ে। এবারও হাসল নারী। বিমর্ষ। বলল, বেদনা!
তবে কি প্রেমে আনন্দ নেই? নারী বলে, মৃত প্রেমের রূপ দুটি- বিস্মরণ ও আনন্দ। বেদনায়ই বাঁচে প্রেম।
প্রকাশকালঃ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
ভাগে ইলিশ কিনলো বলে
দাদার সাথে ঠ্যাস মারো
হাতেম তায়ির নাতিরা যে
গরু কিনে ভাগ করো
তার বেলা?
ভাগছো জমি ভাগছো বাড়ি
দালানকোঠা অফিস ঘর
বউয়ের সাথে মোটরগাড়ি
যৌতুক চাও যে সুবোধ বর
তার বেলা?
মায়ের বাপের খাবার বেলা
ভাগছো তোমরা রাত্রি দিন
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া শেষে
কাটে তাদের উপোষ দিন
তার বেলা?
বোনের জমির দেখা পেলে
গাপুসগুপুস খেয়ে নাও
রাস্তা সেতু হাপিস করে
ইলিশ মাছের দাম হাঁকাও
তার বেলা?
ভাগে ইলিশ কিনলো বলে
দাদার সাথে রঙ করো
মুর্দাফরাস বান্দারা যে
গরু কিনে ভাগ করো
তার বেলা?
(অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়া খুকু ও খোকা অবলম্বনে)
[ভাগছো= ভাগ করছো]
প্রথম প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২০।
সপ্তর্ষি প্রেমে অবাক জলস্রোতের নতজানু একাঙ্কিকা থেমে গেলে স্থানু সময় ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে এক অকৃত্রিম মহীরূহ। যার সফেদ রেশম চিকচিকে হাসিকান্নার আলোয়ানে খেলা করে গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্নকথিকা। বালকবেলার দোমড়ানো হাহাকার ঘিরে বসে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
: আমাকে পথ দেখাও গুরু। ভুল পথে চলে চলে ক্লান্ত আমি।
: যে পথ তোমাকে আমার কাছে এনেছে তাকে ভুল বলছ?
: জীবন এখানে পাণ্ডুর রোগের মত ম্রিয়মাণ, বিস্বাদ। সকল সতীর্থ..
অতিক্রান্ত সময়ের কসম!
পানিতে মিলিয়ে যাওয়া বুদবুদ ছাড়া
দুনিয়া আর কিছুই নয়।
তুমি কি পানি হয়ে পানি দিয়ে পানিতে
নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাও?
এই সুরম্য অট্টলিকা সেদিন থাকবে..
বটের ছায়ায় লীন হতে হতে আঁধারে মিশে গেলে একটি অংক রাজহাঁস হয়। অংকের পিঠে প্রেম বসিয়ে পিথাগোরাসের উপপাদ্যকে প্রধান পুকুরপাড়ে মরে যেতে দেখি। পুকুরটি ঝোপের ডালে জোনাকের ঝারবাতি সাজিয়ে কাঙালি ভোজে ব্যস্ত..